বরগুনা প্রতিনিধি ॥ মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আবদুস সালাম নয়ন নামে এক ব্যবসায়ী। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী আবদুস সালাম নয়ন বলেন, আমার ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষ মােঃ শামীম গাজী বরগুনা সদর উপজেলার গৌরিচন্না বাজারে পােল্ট্রির ব্যবসা করেন। সেই কারনে আমার পোল্ট্রি ফিডের পাইকারী দোকান থেকে ব্যবসায়ী শামীম গাজী ও তার স্ত্রী লাভলী আক্তার পাইকারি মাল, ও মুরগির বাচ্চা এবং খাবারের বস্তা কিনত। একপর্যায়ে তার কাছে আমার চার লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা বাকি পরে যায় ।আমি টাকা চাইলে আজ না কাল দেবাে বলিয়া ঘুরাতে থাকে।
এক পর্যায়ে শামীম গাজীর স্ত্রী লাভলী আক্তার তার নিজ একাউন্ট গৌরিচন্না কৃষি ব্যাংক শাখার চার লাখ ৯৫ হাজার টাকার একটা চেক প্রদান করেন,চেক নম্বর, সব/কজ-০০৪১২৩০। পরে আমি ব্যাংকে টাকা আনতে গেলে দেখি তার একাউন্টে টাকা নাই পরে কৃষি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক চেক খানা ডিজঅনার করেন।
পরে আমি একজন আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নােটিশ পাঠই। লাভলী আক্তার লিগ্যাল নােটিশ গ্রহণ করেন, তারপরও আমার টাকা দেয়নি তখন আমার সন্দেহ হয় যে তারা ব্যবসার নামে প্রতারণা করতেছে এবং আমার টাকা আত্মসাৎ করবে বলে সন্দেহ হয়।
নয়ন আরও বলেন, আমি পরে মির্জাগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত বছরের ১১ নভেম্বর মামলা দায়ের করি।মামলা চলমান বিচারাধীন আছে।
পরে শামীন গাজী ও তার স্ত্রী লাভলী আক্তার টাকা না দেওয়ার অজুহাতে চলতি বছরের জুন মাসের ২৮ তারিখ আমার বিরুদ্ধে বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় তারা উল্লেখ করেন উল্টো আমার কাছে টাকা পাবেন।
আদালত মামলাটির তদন্তভার দেন বরগুনা উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা বিভাস কুমদর দাসের কাছে। ওই কমকর্তা আমার কাছে দশ হাজার টাকা দাবী করেন। কিন্তু আমি টাকা না দেওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তাদের পক্ষপাতিত্ব করে অযৌক্তিকভাবে একটি মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেন। পুনরায় সুষ্ঠ তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থ নেয়ার দাবী জানায় আবদুস সালাম নয়ন।