আনিসুর রহমান টুলু বরগুনা ॥ বরগুনা পাথরঘাটা পুটিমারা নাচনাপাড়া আলিম মাদ্রাসায় নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া যায়। গতকাল ওই মাদ্রাসায় অফিস সহকারী পদে ৯জন আয়া পদে ৭জন দপ্তরি পদে ৪ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় যোগদান করেন। সর্বমোট পরীক্ষার প্রার্থীর শংখ্যাছিল ২১জন।
লিখিত পরীক্ষা শেষে পাশ ফেল না দেখিয়ে সকল পরীক্ষার্থীদের ভাইভা বোর্ডে অ্যাটেন্ড করার নির্দেশ দেন। এসময় নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত ছিলেন ডি জির প্রতিনিধি মোঃ আলফাজ উদ্দিন, পুটিমারা নাচনাপাড়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জিয়াউল হক ,ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রিপন মোল্লা, শিক্ষা অনুরাগী জনাব মোঃ ফরিদ উদ্দিন মাসুদ, ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক মোঃ জাহিদুল ইসলাম।
স্থানীয়রা বলেন এই নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরি দেয়ার কথা বলে অনেকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ বাণিজ্য করছে।
এমনকি একপদে তিন থেকে চারজন এর কাছ থেকেও লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই চক্রটি । নাম বলতে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন আমার কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা নিয়েছে শিক্ষা অনুরাগী বোর্ডের সদস্য মোঃ ফরিদ উদ্দিন মাসুদ আমার ছেলেকে চাকরি না দিয়ে জহিরুল ইসলাম রাসেল এর কাছ থেকে ৬লক্ষ ৫০হাজার টাকা নিয়ে তাকে চাকরি দিয়েছে।
তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন আমির হোসেন নামে এক ব্যক্তি চাকরি না পেয়ে তিনি স্টক করেছেন। এরকম এলাকা থেকে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে সাংবাদিকদের কাছে তাদের নাম চিহ্নিত করে বলেন।
ডি জি মহোদয়ের প্রতিনিধি আলফাজ উদ্দিন নিয়োগ সম্পন্ন না করে সভাপতি ও অধ্যাক্ষর কাছে দায়িত্ব দিয়ে ঢাকায় চলে যান।
এবিষয় প্রতিষ্ঠানের অধ্যাক্ষর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার সভাপতি ও শিক্ষা অনুরাগী সাথে আপনারা কথা বলেন এ বিষয়ে আমি সঠিক তথ্য দিতে পারব না।
প্রতিষ্ঠানের সভাপতি কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। অভিযুক্ত ফরিদ উদ্দিন মাসুদের কাছে ঘুষ বাণিজ্যের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি আমি এইমাত্র শুনলাম।
জেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা বলেনঅভিযোগ আসলে বিষয়টি আমি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নিব।