• ১২ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৮ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

বরগুনায় মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় মামলা

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪, ২১:২৭ অপরাহ্ণ
বরগুনায় মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় মামলা

বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল॥ বরগুনায় প্রকাশ্যে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আলহাজ্ব আবদুর রশীদকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় বরগুনা সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

সোমবার বিকেলে ভুক্তভোগী ওই মুক্তিযোদ্ধা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয় নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. দেওয়ান জগলুল হাসান।

মামলার আসামি করা হয়েছে বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফারুক হোসেন মোল্লার ছেলে শাওন মোল্লাকে এবং অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও কয়েকজনকে।

এর আগে, গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব আ. রশীদকে প্রকাশ্যে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও চড়–থাপ্পড় দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফারুক হোসেন মোল্লার ছেলে মো. শাওন মোল্লা ওই মুক্তিযোদ্ধাকে চোর ও ডাকাত বলছেন।

এছাড়াও ওই মুক্তিযোদ্ধাকে নারীপিপাসু ও চরিত্রহীন বলতে শোনা গেছে। এর একপর্যায়ে ওই যুবক মুক্তিযোদ্ধার চোখ থেকে চশমা খুলে মাটিতে আছাড় দিতে দেখা গেছে। তখন ওই মুক্তিযোদ্ধা নিচু হয়ে চশমা উঠাতে গেলে তার মাথায় ও ঘাড়ে দুটো থাপ্পড় দিতে দেখা গেছে ওই ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে।

পরে ওই ঘটনার দিন রাতে ফেসবুক লাইভে এসে, বয়োজ্যেষ্ঠ ওই মুক্তিযোদ্ধা এবং দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন হামলাকারী শাওন মোল্লা।

এ সময় লাইভে তিনি দাবি করেন, ওই মুক্তিযোদ্ধা বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে এবং তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোকে অশ্লীল ভাষায় বিভিন্ন সময়ে গালমন্দ দিয়ে আসছে। তাই তিনি বিএনপির কর্মী হিসেবে মেনে নিতে পারেননি। এ কারণে তিনি উত্তেজিত হয়ে রাগের মাথায় ওই মুক্তিযোদ্ধার সাথে এমন আচরণ করেছেন।

এ ব্যাপারে বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ূন হাসান শাহীন বলেন, ‘মূলত শাওন মোল্লা বিএনপির কোনো কমিটির সদস্য ছিল না। তার বাবা যেহেতু সাবেক কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন কিন্তু দল তাদের সেই কমিটি বাতিল করে দিয়েছে। দলে তারও কোনো পদ পদবি নেই।

হুমায়ূন হাসান শাহীন আরও বলেন, ‘শাওনের একজন বয়স্ক মানুষকে হেনস্তা করা ঠিক হয়নি। শাওনের এই কাজের দায়ভার বিএনপির নয় এটি তার একান্ত ব্যক্তিগত।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, সিনিয়র সিটিজেন এবং একজন মুক্তিযোদ্ধাকে মারধর করা একটি নিন্দনীয় ঘটনা। যতটুকু ঘটনা হয়েছে সে আলোকে মামলা হয়েছে।