• ১২ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৮ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ, পদত্যাগ দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪, ১৭:২৯ অপরাহ্ণ
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ, পদত্যাগ দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

এম এম আল মামুন, কুড়িগ্রাম॥ কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের আরাজি পিপুলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা ।

সোমবার ১০ টা থেকে বিক্ষোভ শুরু করে এলাকাবাসী তাদের সাথে অভিভাবক ও বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভে অংশ নেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরেন। শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, প্রধান শিক্ষককে বহিষ্কার করা না হলে তারা ক্লাসে ফিরে যাবে না। তাদের এ দাবির সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাবেন না বলে জানান।

প্রধান শিক্ষককে বহিষ্কার করা না হলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন হুমকির মধ্যে পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন অভিভাবকরা। তারা বলেন- ইতোমধ্যে প্রধান শিক্ষকের লোকজন শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। নাম প্রকাশ করায় বিদ্যালেয় শিক্ষকরাও নানান অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষক আতাউয়ের বিরুদ্ধে।

অভিভাবক মাহাবুর রহমান বলেন আরাজি পিপুলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রত্যন্ত চড়অঞ্চলে হওয়ায় প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসেননা বছরেও শিক্ষার্থীদের দেন না কোনো পাঠদান।

এমন বেহাল দশায় দিন দিন ঝড়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। শুধু তাই নয় স্কুলের স্লিপের টাকা প্রাক – প্রাথমিক বাচ্চার টাকা সহ স্কুলের পরিত্যক্ত সম্পত্তি ইট লোহা ইত্যাদি মালামাল বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করেছে প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান ও এটিও কানিজ ফাতেমা।

বাচ্চাদের সার্টিফিকেট উত্তোলন করতে গেলে দিতে হতো ১৫০০ টাকা মার্কশিট নিতে দিতে হতো ২০০ টাকা এসবের প্রতিবাদ করতে গেলে এলাকাবাসীকে হুমকি দেন রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে।

তবে এসব রাজনৈতিক প্রভাবকে তোয়াক্কা না করে লিখিত অভিযোগ করেন এলাকাবাসী বিভিন্ন দপ্তরে। অভিযোগে বলেন এসব অনিয়ন দুর্নীতি খতিয়ে দেখে প্রধান শিক্ষককে পদত্যাগ করতে হবে।

এখানেই থেমে নেই প্রধান শিক্ষক আতাউরের দুর্নীতি মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন সহকারী শিক্ষিকা রুনা খাতুনকে

এলাকাবাসী বাচ্চুমিয়া, চানমিয়া, আক্তার আলী, সাইফুর রহমান, শাহআলম, সেলিনা, ফারনা রহিমা, আরও অনেকে বলেন রুনা অত্যন্ত প্রশর্মী সে সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে আন্তরিকতার সাথে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেন।

কিন্তু প্রধান শিক্ষকের এসব অনিয়মে প্রতিবাদ করায় তাকে মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। আমরা এর প্রতিবাদে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ চেয়ে রুনা খাতুনকে পুনরায় যোগদানের লিখিত অভিযোগে করেছি।

এসব অভিযোগের জবাব জানতে চাইলে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান আতা। উল্টো সংবাদ কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে ফোনে কথা বলতে বলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে।

এদিকে এলাকার সচেতন মহল বলছেন দিনের পর দিন বেড়ে যাচ্ছে বাল্যবিবাহ অল্প বয়সে লিপ্ত হচ্ছে নানা অপকর্মে।

শিক্ষার্থী, ও অভিভাবকের প্রত্যেকটি অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার
সমেশ চন্দ্র মজুমদার

তিনি বলেন, কাউকে জোর করে পদত্যাগ করানো যাবে না মর্মে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। কাজেই আমি চাইলেই তাকে বহিষ্কার করতে পারি না।

তবে তার বিরুদ্ধে আনা প্রতিটি অভিযোগ তদন্ত করা হবে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হবে।