• ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১২ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

প্রদীপ-চুমকির দুর্নীতি মামলার রায় আজ

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত জুলাই ২৭, ২০২২, ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ
প্রদীপ-চুমকির দুর্নীতি মামলার রায় আজ

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলার রায় ঘোষণা হবে আজ। চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে এ রায় ঘোষণা হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

 

রায়ে মামলার পাঁচটি ধারায় প্রদীপ ও চুমকির সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছে দুদকপক্ষ। অন্যদিকে, অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি দাবি করে তারা খালাস পাবেন বলে মনে করছে আসামিপক্ষ।

 

দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক মাহমুদ বলেন, সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সব কাগজপত্র আদালতে উপস্থাপন ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। এছাড়া প্রদীপ কুমার দাশের ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্ররোচনার অভিযোগ আমরা আদালতে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংসহ একাধিক অভিযোগ তদন্ত চলমান রয়েছে। পাঁচটি ধারায় আনা অভিযোগের প্রত্যেক ধারায় আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি আমরা প্রত্যাশা করছি।

প্রদীপ ও চুমকির আইনজীবী সমীর দাশগুপ্ত বলেন, কক্সবাজারের মহেশখালী থানার সেলিম এলাহীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুদক। সেই সেলিম এলাহীকে মামলায় সাক্ষী করা হলেও তিনি আদালতে সাক্ষ্য দেননি। ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে দুজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীকে আদালতে জেরা করা হয়। বাকি ২২ জন সাক্ষীর কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। তারা মামলা সম্পর্কে জানেন না। আমাদের পক্ষে সাফাই সাক্ষীতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে হাজির করা হয়েছিল।

২০২০ সালের ২৩ আগস্ট মামলাটি করেন দুদক কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন। পরে গত বছরের ২৬ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়।

একই বছরের ১ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি হয়। ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিনের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার এজাহারে উল্লিখিত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেয় আদালত। ১৫ ডিসেম্বর এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়।

এর আগে, প্রদীপের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠায় ২০১৮ সালের জুন মাসে অনুসন্ধান শুরু করেছিল দুদক। প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রদীপ ও চুমকির নামে অস্বাভাবিক সম্পদের তথ্যও পান দুদক কর্মকর্তারা। এরপর সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য বলা হলে একই বছরের মে মাসে দুদকে বিবরণী জমা দেন তারা।