• ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৯শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৯ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

গলাচিপায় প্রভাবশালীরা কেড়ে নিতে চায় রেকর্ডীয় জমির মালিকের সামনের জেলা বোর্ডের সম্পত্তি!

বিডিক্রাইম
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩, ২১:০৭ অপরাহ্ণ
গলাচিপায় প্রভাবশালীরা কেড়ে নিতে চায় রেকর্ডীয় জমির মালিকের সামনের জেলা বোর্ডের সম্পত্তি!

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) ॥ পটুয়াখালীয় গলাচিপায় প্রভাবশালীরা কেড়ে নিতে চায় রেকর্ডীয় জমির মালিকের সামনের জেলা বোর্ডের সম্পত্তি। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা পৌর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজ রোড সাহা পাড়ার অশি^নী কুমার দাস এর রেকর্ডীয় সম্পত্তির মধ্যে। রতনদী মৌজার জে.এল নম্বর ১০৮, এস.এ ৩২ নম্বর খতিয়ানে ১৫২১, ১৫২২, ১৫২৪ ও ১৫২৫ দাগের রেকর্ডীয় জমির মালিক অশি^নী কুমার দাস এর ওয়ারিশ পরেশ দাস গং। জমির পরিমান ২৩ শতাংশ। উক্ত জায়গা পরেশ দাস গং এর পূর্ব পুরুষ থেকে অদ্যাবধি বসতবাড়ি নির্মান, পুকুর তৈরি ও বিভিন্ন প্রজাতীর গাছপালা লাগিয়ে ভোগ দখলে আছেন।

উক্ত জমির সম্মুখভাগে জেলা বোর্ডের পূর্ব-পশ্চিমে আনুমানিক ৯২ ফুট এবং উত্তর-দক্ষিনে ২০ ফুট জায়গা রয়েছে। যা পরেশ দাস গং এর পরিবারই সুদীর্ঘ বছর থেকে ভোগ দখল করে আসছে। যা সরকার বাহাদুর কর্তৃক একোয়ারকৃত জেলা বোর্ডের অধীনে নিলেও তার ক্ষতিপূরণ এখনো পায়নি পরেশ দাস গং এর পরিবার। রেকর্ডীয় সম্পত্তির মালিক হিসেবে রেকর্ডীয় সম্পত্তির সামনে সরকারী খাস অথবা জেলা বোর্ডের জায়গা থাকলে তাহা উক্ত রেকর্ডীয় মালিকগণ ভোগদখল করতে পারেন। এ বিষয়ে পরেশ দাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বাব-দাদার রেকর্ডীয় জমির সম্মুখভাগে জেলা বোর্ডের আনুমানিক ৯২ ফুট এবং উত্তর-দক্ষিনে ২০ ফুট জায়গা রয়েছে। উক্ত জায়গা আমাদের বসবাস এবং যাতায়াতের জন্য খুবই প্রয়োজন। একটি কুচক্রী প্রভাবশালী মহল আমাদের রেকর্ডীয় মালিক বা ওয়ারিশ না হয়েও উক্ত জায়গা জেলা বোর্ড থেকে ডিসিআর নেওয়ার জন্য পায়তারা করছে। উক্ত জায়গা জেলা বোর্ড আমাদের ব্যতীত অন্য কোন আগন্তুক ব্যক্তিকে ডিসিআর প্রদান করলে আমাদের বসবাস সহ চলাচলে অপূরনীয় ক্ষতির কারণ হইবে। তিনি আরো বলেন, আমার বিশ্বাস এবং আশা জেলা পরিষদের সুযোগ্য চেয়ারম্যান মহোদয় আমাদের ব্যতিরেকে অন্য কাউকে উক্ত জায়গার ডিসিআর প্রদান করবেন না।

এ বিষয় নিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মু. সাহিন সাহ বলেন, রেকর্ডীয় জমির মালিকরাই উক্ত জেলা বোর্ডের জায়গা ভোগ দখল করবেন। উপজেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা টিটো বলেন, উক্ত জেলা বোর্ডের জায়গা ডিসিআর পাওয়ার জন্য একমাত্র দাবীদার পরেশ দাস গং এর পরিবার। জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আ’লীগ নেতা মাইনুল ইসলাম রনো বলেন, বিষয়টি আমি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয়কে জানাব এবং আমি মনে করি উক্ত জমি পরেশ দাস গং এর পরিবার ডিসিআর পাওয়ার হকদার।

পৌরসভার প্যানেল মেয়র সুশীল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, যেহেতু রেকর্ডীয় জমির মালিক পরেশ দাস গং এর পরিবার সেহেতু উক্ত জেলা বোর্ডের জায়গা তাদেরই প্রাপ্য। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোসা. তানিয়া ফেরদৌস বলেন, রেকর্ডীয় জমির প্রকৃত মালিকরা ডিসিআরের আবেদন করলে তারাই ডিসিআর পাবেন। এজন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন একান্ত আবশ্যক।

জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার মো. মেহেদী হাসান বলেন, পরেশ দাস গং এর ডিসি আর এর জন্য আবেদন পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরির্দশন করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ডিসিআরের জন্য পরেশ দাস গং এর আবেদন পেয়েছি। সঠিক মালিকরাই জেলা বোর্ডের জায়গার ডিসিআর পাবে।