কুয়াকাটায় বিএনপির কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, রবিবার রাতে কুয়াকাটা চৌরাস্তা সংলগ্ন বিচ রোডে পৌর কৃষকদলের আহবায়ক মোহাম্মাদ আলী হোসেন খন্দকারের দোকানের সামনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কৃষকদল নেতা আলী হোসেন খন্দকারের ছেলে সম্রাট খন্দকারের উপর হামলা চালায় পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাচ্চু খলিফা তার ছোট ভাই সোহাগ, যুবলীগ নেতা নজরুল দফাদার, আনোয়ার ও শ্রমিকলীগ নেতা ইসমাইল মিয়া।
এতে গুরুতর আহত সম্রাটকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
প্রতক্ষদর্শী জানায়, আহত সম্রাটের পিতা আলী হোসেন খন্দকার তার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের সামনে জৈনিক আনোয়ার হোসেনের বাদামের দোকানে বাদাম কিনতে গেলে আওয়ামী লীগের ইউনুস খলিফা দাম্ভিকতা দেখিয়ে বলেন আগে তার কাছে বাদাম বিক্রি করতে হবে। প্রথমে ওই দোকানে বাদাম কিনতে যাওয়া আলী হোসেন খন্দকার এতে আপত্তি জানালে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ছেলে ও দলীয় অন্যান্য কর্মীদের খবর দেয়।
পরে তাদের এহেন কর্মকাণ্ডে আলী হোসেন খন্দকারের ছেলে সম্রাট প্রতিবাদ জানালে ইউনুস খলিফার ছেলে ও যুবলীগ-শ্রমিকলীগ নেতারা সম্রাটের উপর হামলা চালায়। এছাড়া আলী হোসেন খন্দকারের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তিরা অভিযোগ করে বলেন, ইউনুস খলিফার ছেলে সহ হামলাকারীরা বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কুয়াকাটায় এমন কোন অপকর্ম নেই তারা তা করেনি। বহু মানুষ তাদের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বর্তমানে স্বৈরাচার হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও এখনও তার এসব অনুসারীরা কুয়াকাটায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। তাদের এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রুখতে প্রশাসনের জরুরীভাবে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
অপরদিকে ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই পরিবার।