বিডি ক্রাইম ডেস্ক, বরিশাল ॥ বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার পথে দক্ষিণ পূর্ব দিকে পায়রা বন্দর থেকে পশ্চিমে বয়া এলাকায় জলদস্যুদের হামলার সময় প্রাণে বাঁচতে সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়া নয় জেলের জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত তাদের কোনো সন্ধান মেলেনি। ফিরে আসা জেলেদের তথ্য অনুযায়ী তাদের জীবন নিয়ে শঙ্কিত তারা।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত আড়াইটার দিকে পাথরঘাটা থেকে ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে পায়রা বন্দর থেকে পশ্চিমে বয়া এলাকায় একটি মাছ ধরা ট্রলারে হামলা চালায় ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি জলদস্যু বাহিনী। এ সময় ওই ট্রলারে ১৮ জেলের ওপরে এলোপাথাড়ি গুলি করে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তখন দিকবিদিক হয়ে ৯ জেলে সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিখোঁজ হয়।
নিখোঁজ জেলেরা হলেন, কাইউম জোমাদ্দার (৩৫) , ইয়াছিন জোমাদ্দার (৩২), আবুল কালাম (৫৮), শফিকুল মাঝি (৩৫), খাইরুল ইসলাম (৪০), আবদুল আলীম (৫৫), ফরিদ (৩৮), আবদুল হাই (৪০)। অপর জেলের নাম পাওয়া যায়নি।
এদিকে রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে র্যাব-৮ ও কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যৌথ উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। একটি ট্রলার ও একটি স্পিড বোট নিয়ে দুপুর পৌনে বারোটার দিকে সাগরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে উদ্ধারকারী দল।
র্যাব-৮ এর পটুয়াখালী কোম্পানি অধিনায়ক, সহকারী পুলিশ সুপার তুহিন রেজা বলেন, কোষ্টগার্ডের সঙ্গে আমাদের একটা টিম সাগরে উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে। অপর একটি টিম তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমেও কাজ করছে।
এদিকে শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত আটটার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফিরে আসা আহত ৯ জেলেকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ফিরে আসা জেলেদের পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে ছয়জনকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিমে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, র্যাব ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে উদ্ধার অভিযানে নেমেছে। সঙ্গে আমাদের ট্রলার ও জেলেরাও রয়েছে। সূুত্র:বাংলানিউজ